1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: গৌরারংয়ে হামলায় আহত ৩

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার ::
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় হামলার শিকার হয়েছেন গৌরারং ইউপি’র লালপুর এলাকার তিন বাসিন্দা। গতকাল রোববার বিকেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে খলিল মিয়া (৩৫), শওকত আলীর স্ত্রী নুর নাহার (২২) ও একই এলাকার রহিম মিয়া (৩০)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে হাওরে কৃষিকাজে ব্যস্ত ছিলেন খলিল মিয়া। তিনি নির্বাচনের সময় নৌকার প্রার্থী হোসেন আলীর পক্ষে প্রচারণার কাজ করেছিলেন। এ ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী জয় লাভ করে। রোববার বিকেলে আচমকা লাঠিসোঁটা নিয়ে খলিল মিয়ার ওপর হামলা করে পিটিয়ে আহত করা হয়। খলিল মিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন খলিল মিয়ার ভাবি নুর নাহার। এছাড়া রহিম মিয়া নামের আরও একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহত তিনজনকেই সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ফলাফল ঘোষণার একদিনের মাথায় বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহতদের স্বজনরা। তাঁরা জানান, এলাকার নির্বাচিত বিএনপি’র প্রার্থীর লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলাকারী কয়েকজনের নামও তারা প্রতিবেদককে জানান। এর মধ্যে আলম, জহুর, নুরুল আমিন, সায়েম, আলিম, আলমগীর, দারু, মনির ও জাহাঙ্গীর নামের কয়েকজন হামলার নেতৃত্বে ছিলেন বলে জানান আহতদের স্বজনরা। তারা জানান, হামলাকারীরা বিএনপি’র নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফুল মিয়ার লোক।
অন্যদিকে, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফুল মিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। বিএনপি’র মনোনীত ও নির্বাচিত প্রার্থীর মতে হাওরে হাঁস নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। যা এখন নৌকা-ধানের শীষের দ্বন্দ্ব বলা হচ্ছে।
হামলার ব্যাপারে আহত খলিল মিয়ার স্ত্রী ললিতা খাতুন বলেন, ‘ফুল মিয়ার লোকজনে আমার স্বামীকে মারধর করছে। আমার স্বামী হাওরে কাজ করতে গেছিল। তারে লাঠিসোঁটা নিয়া এলাপাতাড়ি মারধর করছে। আমার স্বামী নির্বাচনের সময় নৌকা মার্কা নিয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে কাম করছিলো, এর লাইগ্যা তারে বিএনপির মাইনষে মারছে, আমি এর বিচার চাই’।
হামলার ব্যাপারে গৌরারং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হোসেন আলী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমার পক্ষে প্রচারণা দেয়ার জন্য তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। কিন্তু এটা মনুষ্যত্ব নয়, নির্বাচনে হার জিত আছে। তাই বলে ক্ষমতার অপব্যবহার করা ঠিক না, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি আমি হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে গৌরারং ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফুল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাচনী কোন সহিংসতা নয়। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমার লোকজন কারো ওপর হামলা করেনি। এটা মূলত হাওরে হাঁস নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন আওয়ামী লীগের লোকজন আমাকে এর সাথে জড়ানোর চেষ্টা করছে। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটা ঘটনা।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিল।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘গৌরারংয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com