দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়সহ বাড়ি-ঘর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে একইভাবে উপজেলার নরসিংপুরে পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থীর কর্মীরা প্রতিপক্ষ বিজয়ী প্রার্থীর মিছিলে হামলা চালালে এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০জন হতাহতের খবর পাওয়াগেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলামকে ভোট না দেয়ার জেরে শনিবার সকালে গিরিশনগরের হিরন মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় গিরিশনগরের মৃত সোনা মিয়ার পুত্র মফিজ উদ্দিন ও মানিক মিয়ার পুত্র জসিমসহ মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হিরন মিয়ার বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও ঘরের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। বাড়িতে থাকা মহিলাসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে আহত করে। পরে ওই বাড়ির ভাড়াটে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের দেয়াল ভেঙে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের চালায় তারা। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ১টি ল্যাপটপ, ১টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, স্টিলের আলমিরা, ১টি স্ক্যানার, নোটিশ বোর্ডসহ ভাঙচুর করে। এছাড়া পরিষদ কার্যালয়ে থাকা সরকারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করা হয়। হামলার সময় প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত হন বাড়ির মালিক হিরন মিয়ার পুত্র আরফাত মিয়া (১৯), মেয়ে সারমিন বেগম (১৬), আলমগীর হোসেন (২২), জেসমিন আক্তার (৩২)। আহতদের দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
পরে দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা চলে যায়। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে বিকেলে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক হিরন মিয়া। অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে থাকা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি সেলিম নেওয়াজ বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।