মো. আমিনুল ইসলাম ::
৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটের ফলাফল শেষে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণা শেষে শনিবার ভোটযুদ্ধে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। অন্যদিকে খোশমেজাজে রয়েছেন বিএনপি, জাতীয়পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। শনিবার সকাল থেকে দিনব্যাপি ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের পর রাতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৭টিতেই ভরাডুবি হয়েছে নৌকার প্রার্থীদের। বাকি ২টি ইউনিয়নে কোন রকমে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নিজেদের আসন রেখেছেন আওয়ামী লীগের ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
রঙ্গারচর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল হাই। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মকসুদ আলী নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের।
সুরমা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ডিলার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হোসেন রেজা। কুরবান নগর ইউনিয়নে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল বরকত নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী কোহিনূর আলম।
মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হক। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সোবাহান।
লক্ষণশ্রী ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী ইয়াকুব বখত বহলুল।
গৌরারং ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ফুল মিয়া। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়তের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব।
মোহনপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মঈনউল হক। কাঠইর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি শামছুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফারুক আহমদ মেনর।
এ দুটি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি সবগুলোতেই নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। এ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জেলার ৩টি উপজেলার মোট ২৬টি ইউনিয়নে শনিবার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু-একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে ভোট কার্যক্রম।