বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি ::
বিশ্বম্ভরপুরের আঙ্গারুলি হাওর তলিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন মানিকটিলা গ্রাম সংলগ্ন গন্ডামারা নদীতে বাঁধ না দেয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আঙ্গারুলি হাওরে পানি প্রবেশ করে। ফলে শুক্রবার রাত থেকে কৃষকের চোখের সামনেই একে একে বোরো ফসলি জমি তলিয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শনিবার রাত ৯টা) আঙ্গারুলি হাওরের প্রায় অর্ধেক অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, পাউবো গন্ডামারা হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করলেও পূর্বদিকে গন্ডামারা নদীতে বাঁধ না দেয়ায় বাঁধটি তেমন উপকারে আসছে না।
এলাকার কৃষক ইমদাদ বলেন, বে-জায়গায় বাঁধ দিয়ে টাকা হজম করাই পিআইসি ও পাউবো’র কাজ।
শক্তিয়ারখলা গ্রামের ইমরান দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, যে বাঁধে পানি আটকানোর কাজ হয় না, এ বাঁধের দরকার কি।
দুর্গাপুর গ্রামের মখলিছ বলেন, কৃষকদের জীবন নিয়ে এই খেলা বন্ধ করতে হবে।
বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান ছবাব মিয়া জানান, গন্ডামরা নামক এ বাঁধটিসহ বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপির আরো ৩টি বাঁধের জন্য পাউবো প্রায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। যে জায়গাটি দিয়ে আঙ্গারুলি হাওরে পানি প্রবেশ করছে এখানে পাউবোকে বাঁধ দেয়ার কথা বললেও তারা বরাদ্দ দেয়নি।
চেয়ারম্যান ছবাব মিয়া বলেন, পাউবো জানিয়েছিল এখানে ৮-১০ লাখ টাকা ছাড়া বাঁধ দেয়া সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, তিনি সরেজমিনে আঙ্গারুলি হাওর পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ প্রবেশপথ বন্ধের জন্য কোন বরাদ্দ দেয়নি। তাই প্রতিটি মহল্লায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের ধান কাটার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন জানান, প্রয়োজন বিবেচনায় আগামীতে এখানে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বর্তমানে বিষয়টি সুরাহা করা যাচ্ছে না।