মো. শাহজাহান মিয়া ::
সংশয় ও জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী ২৮ মে পঞ্চম ধাপে জগন্নাথপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়ার খবরে সর্বত্র ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
জানাগেছে, ধাপে ধাপে দেশের অন্য সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হলেও নির্বাচনী কোনো তালিকায় জগন্নাথপুরের নাম না থাকায় শুরু থেকে সংশয় দেখা দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ মে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্বাচনী কোন তালিকায় জগন্নাথপুরের নাম না থাকায় নির্বাচন পিছিয়ে যায়। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে জগন্নাথপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য প্রার্থী ও ভোটারসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ফিরে প্রাণচাঞ্চল্যতা। তবে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় মিরপুর ইউনিয়নের নির্বাচন না হওয়ায় ইউনিয়নবাসীর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ৭ ইউনিয়নে মোট ৪ জন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর, রাণীগঞ্জ ও সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার, কলকলিয়া ও পাটলি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রফিকুল ইসলাম, আশারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২ মে, ৪ ও ৫ মে যাচাই-বাছাই, ১২ মে প্রত্যাহার ও ২৮ মে কাক্সিক্ষত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার জানান, প্রথমে নির্বাচনী কোন তালিকায় জগন্নাথপুরের নাম না থাকায় নির্বাচন হবে কি না এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। অবশেষে পঞ্চম ধাপে আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জগন্নাথপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যদিও উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৪ ইউনিয়নে বিএনপি’র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ধানের শীষ পেলেও আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী এখনো দলীয় প্রতীক নৌকা পাননি। তাই দলীয় প্রতীক পেতে ঢাকায় অবস্থান করে দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।