স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ঠেলাগাড়ি চালক মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট নেয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। নিহত তরিব উল্লাহ ওরফে পেশকার উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে। হামলার ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সফি উল্লাহ (৬০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতেই তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল মিয়াকে শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে তরিব উল্লাহ’র লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় নিহতের স্ত্রী নুরুন নাহারকে হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে আহাজারি করছিলেন।
কথা হয় নিহতের বড় ভাই সফি উল্লাহর সাথে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখি ঝড়ের পরে আমার দোকানের পেছনের গাছের আম কুড়ানোকে কেন্দ্র করে বাচ্চাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আমি বিষয়টি মিমাংসা করে দেই। বিষয়টি মিটমাট করে দেয়ার পর পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত ইঞ্জিল মেম্বারের ছেলে আব্দুল মিয়া কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাকু হাতে আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ডান হাত ও শরীরের পেছন দিকে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে ছোটভাই তরিব উল্লাহ মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল মিয়া তার উপরও চড়াও হয়। এ সময় তরিব উল্লাহ পেশকারের গলায় চাকু দিয়ে ঘা দিলে সে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে ওই রাতেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সকালে সিলেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পেশকার মিয়া।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল্লাহ্ জানিয়েছেন, নিহত পেশকার মিয়ার ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আব্দুল মিয়াসহ ৬জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আব্দুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।