1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নওগাঁয় মিলেছে চুনাপাথরের ‘সর্ববৃহৎ’ মজুদ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নওগাঁ জেলার বদলগাছিতে দেশের ‘সবচেয়ে বড়’ চুনাপাথরের মজুদ পাওয়ার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ স¤পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
তিনি বলছেন, বাণিজ্যিক উত্তোলন লাভজনক প্রমাণিত হলে ওই খনি থেকেই দেশের সব সিমেন্ট কারখানার চাহিদা মেটানোর মতো চুনাপাথর পাওয়া যাবে।
বদলগাছির তাজপুর গ্রামে প্রায় ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভূপৃষ্ঠের ২ হাজার ২১৪ ফুট গভীরে শুরু হয়েছে চুনাপাথরের স্তর। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর শিগগিরই সেখানে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহ¯পতিবার হঠাৎ করেই সাংবাদিকদের নিজের কার্যালয়ে ডেকে তিনি বলেন, “আমরা একটা সুখবর আপনাদেরকে দিতে চাই, কিছুক্ষণ আগে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চুনাপাথর খনি আবিষ্কৃত হয়েছে।”
সেখানে চুনাপাথরের স্তর শুরুর পর ৬১ ফুট পর্যন্ত এরইমধ্যে খনন হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ড্রিলিং অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আরও অনেক পুরু হবে এই স্তর।”
এই খনি থেকে চুনাপাথর উত্তোলন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে কি না- সেই সম্ভাব্যতা যাচাই করতে দেড়-দুই বছর সময় লাগতে পারে বলে নসরুল হামিদ জানান।
তিনি বলেন, লাভজনক বিবেচিত হলে এরপর বাণিজ্যিক উত্তোলনের পদক্ষেপ নেবে সরকার।
এই আবিষ্কারের বিপুল সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই খনি থেকে উৎপাদন সম্ভব হলে বাংলাদেশের কোনো সিমেন্ট কারখানাকে আর চুনাপাথর আমদানি করতে হবে না।
“অর্থাৎ, হাজার কোটির বেশি টাকার চুনাপাথর আমরা ব্যবহার করতে পারব। এটা নির্ভর করছে, এটা বাণিজ্যিকভাবে ভায়াবল হবে কি-না। ফিজিবিলিটি স্টাডি করলে সেটা বোঝা যাবে।”
দেশে ত্রিশটির বেশি সিমেন্ট কারখানা বছরে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় দুই কোটি টন সিমেন্ট। এসব কারখানার কাঁচামালের বেশিরভাগ চাহিদা মেটানো হয় ক্লিংকার আমদানি করে। আর লাফার্জ মেঘালয় থেকে সরাসরি পাথর আমদানি করে। কাদামাটির সঙ্গে চুনাপাথর মিশিয়ে কারখানায় পুড়িয়ে তৈরি হয় ক্লিংকার। বদলগাছি নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ হলে ক্লিংকার আমদানির বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল উদ্দিন বলেন, “ড্রিলিংয়ে যে নমুনা আমরা পেয়েছি, তার মান আমাদের খুবিই ভালো মনে হয়েছে। আরও খননের পর মজুদের পরিমাণ স¤পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। তবে এ পর্যন্ত যে ধারণা আমরা পেয়েছি, তা আগের যে কোনো খনির তুলনায় বড়।”
প্রতিমন্ত্রী জানান, ষাটের দশকে জয়পুরহাটে চুনাপাথরের খনি আবিষ্কৃত হলেও বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় তা আর তোলা যায়নি।
“এর মধ্যে অনেক প্রযুক্তি এসেছে। আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করে আবার ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি, সেটাকে আবার পরীক্ষা করে শুরু করার জন্য।”
ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, চুনাপাথর উত্তোলন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে কি না তা নির্ভর করে মাটির কতোটা গভীরে আছে তার ওপর। সব কিছুর আগে এর উত্তোলনযোগ্যতা দেখতে হবে। ১৯৫৯ সালে বগুড়ার কুচমায় তেল অনুসন্ধান কূপ খনন করতে গিয়ে এক হাজার ৭৭৪ মিটার গভীরে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ চুনাপাথরের সঞ্চয় চিহ্নিত করা হয়। তবে সেখানে আর উত্তোলন হয়নি।
ষাটের দশক থেকে বিভিন্ন সময়ে খনন চালিয়ে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে ৬ দশমিক ৪৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাটির ৫১৫-৫৪১ মিটার গভীরে ২৭০ মিলিয়ন টন উন্নত মানের চুনাপাথরের মজুদ পাওয়া গেলেও উত্তোলন ব্যয়বহুল হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়নি।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মাটির প্রায় পাঁচশো ফুট গভীরে ১০০ মিলিয়ন টন চুনাপাথরের বড় একটি মজুদ পাওয়া যায় ২০১২ সালে। সে সময় অনেক আশার কথা শোনানো হলেও সেই চুনাপাথর উত্তোলন আর শুনি হয়নি।
১৯৬১ সালে খনন চালিয়ে সুনামগঞ্জের ট্যাকেরঘাট এলাকায় চুনাপাথরের মজুদ পাওয়া যায়। ১৯৬৫ সালে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে সরবরাহের জন্য টাকেরঘাটেই প্রথমবারের মতো চুনাপাথর উত্তোলন শুরু হয়। সেই মজুদ গত শতকেই শেষ হয়ে গেছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com