শামসুল কাদির মিছবাহ ::
“প্রতিবছর হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আসে। এই বরাদ্দের টাকার সঠিক ব্যবহার হয় না। পাউবোর কর্মকর্তা, পিআইসি ও ঠিকাদার মিলে বরাদ্দের টাকা লুটপাট করে নেয়। প্রতিবছর অসময়ে ও অপরিকল্পিত ফসল রক্ষা বাঁধ দেয়া হয়। ফলে বৃষ্টির পানিতেই বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে কৃষকের মাথায় হাত পড়ে।”
বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান তাঁর নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
মতিউর রহমান আরও বলেন, “ফসল রক্ষা বাঁধে পাউবোর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে প্রতিবছর এমনটি হতো না। আমি এমপি থাকাবস্থায় ফসল রক্ষাবাঁধে পাউবো এতো অনিয়ম দুনীর্তির সুযোগ পায়নি। ২০১০-১১ সালের বিরাট বন্যায় বন্যা হয়েছিল। তখন আমি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। বাঁধ রক্ষায় পর্যাপ্ত বাঁশ ও বস্তার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। হাওরের বোরো ফসল রক্ষা হয়েছিল। এবার সামান্য ঢলেই বাঁধ ভেঙ্গে বোরো ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। আমি বলতে চাই, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ফসল রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হোক। অতীতের কার্যক্রম অনুসরণ-অনুকরণ করা হোক।”
ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়মকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান বলেন, “হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ফাল্গুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো ৬০% কাজও হয়নি। প্রতিবছরই ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ সঠিক সময়ে শুরু হয় না এবং অপরিকল্পিত ও দুর্বল বাঁধ দেয়া হয়। ফলে কৃষকের সারা বছরের কষ্টে ফলানো সোনার ফসল তাদের চোখের সামনেই পানিতে তলিয়ে যায়।”
সংবাদ সম্মেলনে ফসলরক্ষা বাঁধে অনিয়মকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানানো হয় এবং ফসলের বাঁধ রক্ষায় কৃষকের পাশে জেলা আওয়ামী লীগ সার্বক্ষণিক কাজ করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান, জেলা কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক যতীন্দ্র মোহন তালুকদার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বর্মণ প্রমুখ।