স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে মাসিক পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত কনফারেন্সে পরোয়ানা জারি ও তামিল সংক্রান্ত সমস্যাসমূহ চিহ্নিতকরণ ও দূরীকরণ, আদালতে সাক্ষীর হাজিরা নিশ্চিতকরণ, তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত প্রেরণ, সাক্ষীদের প্রতি প্রেরিত প্রসেস জারি প্রতিবেদন ও মেডিক্যাল সার্টিফিকেট যথাসময়ে প্রেরণ করা বিষয়ে আলোচনা হয়।
কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত-এ-ইলাহী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইসরাত জাহান, মো. খালেদ মিয়া, রাগীব নূর ও শুভদীপ পাল।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর প্রতিনিধি মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সাহেব আলী খান পাঠান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি আখতারুজ্জামান সেলিম, পি.পি বেগম শাহানা রব্বানী, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ আলোচ্য বিষয়সমূহের উপর তাদের মতামত তুলে ধরেন। এছাড়া বিভিন্ন থানা থেকে প্রেরিত সাক্ষীর সংখ্যা, পরোয়ানা তামিলের সংখ্যা, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সংখ্যা এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নিষ্পত্তির বিবরণী উপস্থাপন করা হয়।
আলোচকবৃন্দ সার্বিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সাথে এই অগ্রগতি ধরে রাখা এবং আরও অধিকতর মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে দ্রুততার সাথে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলসহ যথাসময়ে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার জন্য পুলিশকে আরও তৎপর হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
সভাপতি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্য মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশকে তৎপর হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশকে সাক্ষীদের প্রতি প্রেরিত প্রসেসের তামিল প্রতিবেদন নির্ধারিত তারিখের পূর্বে আদালতে দাখিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বিশেষ করে যেসব মামলা দীর্ঘদিন যাবত শুধুমাত্র এম.ও. সাক্ষী এবং আই.ও. সাক্ষী পরীক্ষার জন্য পুনঃপুনঃ প্রসেস জারি করা হচ্ছে উক্ত প্রসেস জারির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আদালত আইনানুগভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন মর্মে মতামত প্রদান করেন।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম ২০২০ সালে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে মোকদ্দমা দায়ের ও নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২০ সালে জুডিসিয়াল ৩য় পৃষ্ঠায় দেখুন
ম্যাজিস্ট্রেসিতে মোট মামলা দায়ের হয় ৮২৩৩টি। ২০২০ সালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে মামলা নিষ্পত্তি হয় ৭৭৮৫ টি। করোনা মহামারীর কারণে ৫ মাস আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্বেও ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মামলা নিষ্পত্তির হার তুলনামূলক বেশি ছিল।
মামলা নিষ্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সহযোগিতা কামনা করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যতে সকল বিভাগের সহযোগিতায় মামলার নিষ্পত্তির এই ধারা অব্যাহত থাকবে দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন।