মো.শাহজাহান মিয়া ::
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা এখনো ভাল আছি। খাদ্য শষ্য উৎপাদনে দেশ এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, হাওরের ধান ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। অতিথি পাখিদের খাদ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। হাওরপাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নীত করতে হবে। হাওর এলাকায় বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। আমাদেরকে বেড়িবাঁধ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। খাল, বিল, নদী-নালা খনন করতে হবে। আশা করছি আগামী ৩ বছরের মধ্যে হাওর ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থায়ী সমাধান হবে।
তিনি পিআইসিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা টাকার জন্য চিন্তা করবেন না। একটু ধৈর্য্য ধরুন অচিরেই টাকা পাবেন।
রোববার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব কবির বিন আনোয়ার এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নুরুল হক, সাংবাদিক শংকর রায়, হিমাদ্রি শেখর ভদ্র, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাউবো’র সিলেট উত্তরপূর্ব অঞ্চল প্রধান এএসএম শহিদুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, সুনামগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা-২, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুর রব সরকার, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, পাউবো’র জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-প্রকৌশলী হাসান গাজী, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরশ মিয়া, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া কামালী, পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মখলুছ মিয়া সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ। পরে সচিব নির্মাণাধীন নলুয়ার হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন।