1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ : হুমকির মুখে কালিকোটা হাওর

  • আপডেট সময় সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলার কালিকোটা হাওরে অবস্থিত হাওয়ার বাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ওই বাঁধের অন্তর্গত বেশক’টি বাঁধের কাজ বন্ধ পাওয়া যায়। সেখানে পিআইসি কমিটির লোকজনকেও পাওয়া যায়নি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে তার সাইটবুকে লিখেছেন- আগামী ৭দিনের মধ্যে ৪০ভাগ কাজ না করলে আইনী ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু এই নির্দেশের ১৫দিন অতিবাহিত হলেও ৪০ ভাগ কাজ হয়নি। পাশের পিআইসিরও একই অবস্থা। হাওয়ার বাঁধের মূল অংশে পিআইসি রয়েছে ৮৪, ৮৫ ও ৮৬ প্রকল্প। ৮৪ নং প্রকল্পের সভাপতি সেলিম মিয়ার ১০৫মি. বাঁধে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৯ লাখ ৪০হাজার টাকা, ৮৫ নং প্রকল্পের সভাপতি ছয়দুল মিয়ার ১৪০মি. বাঁধে বরাদ্দ ২৪লাখ ৭২হাজার টাকা ও ৮৬নং প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল্লা মিয়ার ৯৯মি. বাঁধে বরাদ্দ ১৯লাখ ৬৯হাজার টাকা। ওই সমস্ত বাঁধে কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। কাজের এমন গতি দেখে কর্মরত শ্রমিকরাই বলছেন এভাবে কাজ করলে আরো একমাস লাগবে শেষ করতে।
৮৭নং পিআইসির সভাপতি ইয়াছিন আলমের ৪০৫ মি.বাঁধে বরাদ্দ ১৫লাখ ৮৬হাজার টাকা। তিনি বলেন, ভাই আমার কাজ তো শুরুই করি নাই। কিছু কিছু শুরু করছিলাম। আমার বাঁধে কাজ করলে হাওয়ার বাঁধই হবে না। সালামের বাঁধের কারণে আমার কাজ আটকে আছে। সালামের নামে কোনো পিআইসিই তো নেই-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন সালামে অন্য নাম দিয়া আনছে। তিনি বলেন, আমার বাঁধে ফাটল আছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওই বাঁধের গোড়ায় বড় বড় পুরনো ফাটল। যা ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানালেন এলাকাবাসী। কারো কারো পিআইসির মোবাইল নাম্বার ভুল। আবার কেউ কেউ রিসিভ করেননি আবার আরেকজন বলেন আমি জগন্নাথপুরে।
স্থানীয়রা হাওয়ার বাঁধ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারণ, হাওয়ার বাঁধ আর আগের জায়গায় নেই। কুড় হয়ে গিয়ে আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ কারছে। এটি কালিকোটা হাওরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে অর্ধ চন্দ্রাকৃতির মতো পূর্বদিকে বোরো জমির উপর দিয়ে মেজারমেন্ট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে পাউবোর শাখা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, হাওয়ার বাঁধে প্রতিদিন আমার লোক যাচ্ছে। প্রতিদিন ছবি আনতেছে আমার লোকজন। দু’টি বাঁধ নিয়ে ¯েপশালি কাজ করতেছি আমি। এটি লেট হওয়ার কারণ, ওখানে কুড় হয়ে যাওয়ায় রিটার্ড করা হইছে। যেকারণে জমির মালিকরা বাঁধ হতে দিচ্ছিল না। পড়ে উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে সমন্বয় হয়। আগামী ৭দিনের মধ্যে বাঁধ স¤পন্ন করা যাবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com