স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জে কৃষক মো. আবুল কাসেম হত্যার প্রতিবাদে এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাচনাবাজারস্থ সিএন্ডবি রোডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি জামালগঞ্জ থানায় নিহতের ভাতিজা মো. মোবারক হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহতের স্বজন মো. খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আলী আকবরের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন জামালগঞ্জ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রজব আলী, সাচনা বাজার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম, সাচনা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আক্তার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আসাদ আল আজাদ, কাজী আব্দুস শহীদ, কালা মিয়া, আব্দুল মতিন, নূরুল ইসলাম, জাকির হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, একটি মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে তার বাড়ি। আবুল কাসেম নিজের বাড়িতে গিয়েও খুনীদের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনীরা দল বেঁধে বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আবুল কাশেমসহ তার পরিবারের একাধিক মানুষকে কুপিয়ে জখম করে। আমরা এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন, ৮ জনকে আসামি করে একটি এজাহার হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
স্মারকলিপি ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাচনাবাজার ইউনিয়নের পলক (শান্তিপুর) গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে মো. কাশেম মিয়া ও তার স্ত্রী মালেকাসহ দুই ছেলে বিল্লাল মিয়া, হেলাল মিয়া ও স্বজন মো. মফি আলী। পরে তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি মো. কাশেম মিয়ার মৃত্যু হয়।