রাজন চন্দ ::
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও রোগীর সামান্যতম রক্ত পরীক্ষার সেবাও হচ্ছে না ৫০ শয্যাবিশিষ্ট তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
হাওরবেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলার আড়াই লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর রোগ নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষাসহ এক্স রে মেশিন ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে। ফলে এই উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষজন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বাধ্য হয়েই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষা করিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরীক্ষা নির্ভরযোগ্য হয় না মনে করে জেলা শহর সুনামগঞ্জে গিয়ে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে নানা ধরনের ভোগান্তিসহ অতিরিক্ত টাকা ব্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি বিকল থাকার সুযোগে যেখানে এক্সরে করতে ১২০ টাকা লাগার কথা সেখানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আড়াইশ থেকে ৩শ টাকা নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা সদরের গোবিন্দশ্রী গ্রামের সেলিম আখঞ্জী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্যসেবায় এতো উন্নয়ন হওয়ার পরেও আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামান্য রক্ত পরীক্ষাই করানো যায় না। বিষয়টি হতাশাজনক।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিকল এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন চালু করার জন্য আবেদন করা আছে। আর ল্যাব থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে রক্ত পরীক্ষার কার্যক্রম হচ্ছে না।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ ও ল্যাব টেকনিশিয়ান পদায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।