1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বাঁধের কাজ নিয়ে হতাশ জেলা প্রশাসক

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

কর্নবাবু দাশ ::
সুনামগঞ্জে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অগ্রগতি নেই বললেই চলে। তবে রয়েছে সীমাহীন অনিয়ম। এমন পরিস্থিতি বাঁধের কাজ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন খোদ জেলা প্রশাসক। সচেতন ব্যক্তিবর্গও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে, বাঁধের বেহাল অবস্থায় কৃষকরা উদ্বেগের পাশাপাশি, ২০১৭ সালের মতো বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন। সব মিলিয়ে একটা ভয়াবহ অনিশ্চয়তা কাজ করছে সবার মনে।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী কাবিটা স্কিম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাঁধের কাজ নিয়ে হতাশার কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, যেভাবে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ হচ্ছে এনিয়ে আমি হতাশ। এভাবে ধীরগতিতে কাজ হলে অবস্থা ভয়াবহ হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ যদি অবহেলা করেন তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশঙ্কা থেকেই যায়।
তিনি বলেন, আবহাওয়ার খবরে জানা গেছে এবার আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রিপরিষদ থেকে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। বাঁধের কাজ নিয়ে আমার কাছে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আসছে। সবথেকে বেশি অভিযোগ আসছে শাল্লা উপজেলা থেকে। বাঁধের কাজে কেউ গাফিলাতি করলে ছাড় দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসনের কেউ যদি অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসওদের দিনরাত পরিশ্রম করতে হবে। জেলা কমিটির সদস্যদের তদারকি বাড়াতে হবে।
সভায় হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে অকর্মণ্য ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। একই ব্যক্তি ৫টি পিআইসি’র দায়িত্ব নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন নামে। বাঁধের কাজে অনিয়মের অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। হাওরের ক্লোজারগুলো দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ স¤পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ বাঁধের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। অনেক হাওরে এখনো বাঁধের কাজ শুরুই হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু না হলে কিভাবে ২৮ ফেব্রুয়ারির মাঝে কাজ শেষ হবে। সুনামগঞ্জে অকাল বন্যা হানা দিতে পারে। কৃষকরা আশঙ্কায় আছেন তাদের ফসল ঘরে উঠাতে পারবেন কিনা।
সভায় জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব বিন্দু তালুকদার প্রশ্ন রাখেন, হাওরের সংখ্যা না বাড়লেও প্রতিবছর পিআইসি’র সংখ্যা কেন বাড়ে, টাকা কেন বাড়ে। সুরমা ভ্যালি পার্কের উপর কিভাবে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ বলেন, প্রতিবছর হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের জন্য সিন্ডিকেট তৈরি থাকে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। ধর্মপাশার ইউএনওকে সিন্ডিকেট ঘেরাও করে আছে। শেখ হাসিনা হৃদয় উজাড় করে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবাইকে তাকে সহযোগিতা করা উচিত।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, মোট ৭৮৭ পিআইসি’র জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ৬২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। আমরা প্রথম কিস্তির বিল ইতিমধ্যেই পরিশোধ করেছি। বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি ২৮ ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, যুগ্ম স¤পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূরুল মোমেন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুসহ ১১ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তাগণ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com