ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের বিরুদ্ধে এক রাজমিস্ত্রিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ এনে বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহিষখলা বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহিষখলা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মানববন্ধনে মোবারক হোসেনের মা জাহানারা খাতুন, বড় ভাই মো. শফিক মিয়াসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।
মোবারক হোসেনের ফুফু সোনাবান খাতুন জানান, মোবারকের চাচা আনিসুল মহিষখলা বাজারে রাজমিস্ত্রী হিসেবে স্যানিটারি সামগ্রীসহ সিমেন্টের খুুঁটি নির্মাণের কাজ করে। এ কাজে মোবারক সহযোগী হিসেবে কাজ করে। সপ্তাহ দুয়েক আগে আনিসুলের কর্মস্থল থেকে চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের বড়ভাই আফছার উদ্দিন ওরফে আফছু কিছু না বলে ইট নিয়ে যান। আফছার উদ্দিন মহিষখলা বাজারে এ ইট দিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে আনিসুলের সাথে আফছার উদ্দিনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। আনিসুল আফছার উদ্দিনের বাবাকে বিষয়টি জানালে ক্ষিপ্ত হয় আফছার উদ্দিন। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার আফছার উদ্দিন আনিসুলকে তার ঘরে ধরে নিয়ে মারধর করে। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ, আফছার উদ্দিন, সোহেল মিয়া, মনির ভূইয়াসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে মহিষখলা বাজারে আনিসুলের ওপর হামলা করতে আসে। এ সময় তাকে না পেয়ে মোবারকের ওপর হামলা চালায় তারা। এতে মোবারক গুরুতর আহত হয়। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় মোবারক হোসেনকে প্রথমে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
মধ্যনগর থানার ওসি নির্মল দেব বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।