স্টাফ রিপোর্টার ::
“অযোগ্য, অছাত্র, বিবাহিতদের দিয়ে শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে যেটা ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী এবং নিয়ম বহির্ভূত। সে জন্য গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৬ জন সহযোদ্ধার সর্বসম্মতিক্রমে ভুঁইফোঁড়, তলাবিহীন আহ্বায়ক কমিটি থেকে স্ব-ইচ্ছায় স্ব-জ্ঞানে পদত্যাগ করিলাম।” ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান।
জানাযায়, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদল জেলার ৩২টি ইউনিট কমিটি ঘোষণার পর থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে। কমিটি প্রকাশের সাথে সাথে নিজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগকে দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সর্বশেষ যুগ্ম আহ্বায়ক করায় তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে শুরু হয় ‘গণপদত্যাগ’। তারই ধারাবাহিকতায় গত রোববার শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের ২১ সদস্যের ১৬ সদস্য পদত্যাগ করেন।
শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের পদত্যাগকারীরা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান, আশিকুর রহমান, মারুফ হাসান ডালিম, জুবেদ আলম, শহীদ মিয়া, রুমান মিয়া, রিয়ান মিয়া, শওকত হোসেন, হাজিরুল ইসলাম, সদস্য পাবেল মিয়া, শামীম আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, রাব্বুল হোসেন, সাগর আহমদ, মনু মিয়া, মাসুম বিল্লাহ। তবে এই কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদত্যাগ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব বরাবরে পদত্যাগ পত্রে তারা উল্লেখ করেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সুহেল মিয়া ও হৃদয় মিয়া বিবাহিত। প্রকৃতপক্ষে কমিটিতে ত্যাগী, মামলা-হামলায় জর্জরিত ছাত্রদল কর্মীদের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে আমরা এ কমিটি থেকে পদত্যাগ করলাম।
জেলা কমিটির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান জানান, আজ কালের মধ্যেই আমরা সুনামগঞ্জ গিয়ে জমা দিয়ে আসবো।