1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সুরমায় ভিটেমাটি হারিয়ে কাটছে মানবেতর দিন

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১

আশিস রহমান ::
সম্প্রতি সুরমা নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে ঘরবাড়ি হারিয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে ১৬টি হতদরিদ্র পরিবার। চরম কষ্টে দিন কাটছে তাদের। দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মাছিমপুর হিন্দুপাড়ার প্রিয়মন দাশ, অতুল দাশ, বিক্রম দাশ, বাবুল দাশ, নরেশ দাশ, সুকেশ দাশ, ভক্ত দাশ, নিরঞ্জন দাশ, রাজেন্দ্র দাশ, ভূষণ দাশ, প্রণব দাশ, রতিশ দাশ, অরুণ দাশ এবং পবিত্র দাশের পরিবারের ‘ঠাঁই’ হয়েছে দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে নদীগর্ভে ঘরবাড়ি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এ পর্যন্ত ৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনোব্দি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের পক্ষ থেকে এসব পরিবারের সামান্য খোঁজখবরটুকু পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তারা পায়নি কোনো ধরনের ত্রাণ বা মানবিক সহায়তা।
বিদ্যালয়ের ৩টি পুরাতন ক্লাসরুমে রুমপ্রতি ৩-৪টি পরিবারের সদস্যদের গাদাগাদি করে বসবাস করতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত চুলা না থাকায় রান্নার কাজে চুলার সামনে লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে এসব পরিবারের মহিলাদের। ক্লাসরুমে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় গৃহস্থালির দৈনন্দিন কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। অনেকেই শীতে কষ্ট ভোগ করছেন। হঠাৎ বাস্তুচ্যুত হওয়ায় অনেক পরিবার আর্থিক টানাপোড়নে পড়েছেন। সবার মুখে হতাশার ছাপ। ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।
আশ্রয় নেওয়া বাবুল দাশ জানান, কিছুদিন আগে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আমাদের এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। নদী ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা আমাদেরকে ঘর অন্যত্র সরানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাদের পরামর্শ মতো আমরা ১৬টি পরিবার হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘর নদীতে বিলীন হয়েগেছে। বাকিগুলোও ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে। আপাতত আমাদের থাকার জন্য বিদ্যালয়ের আরো কয়েকটা রুম বরাদ্দ দেওয়া হোক। এখানে এক রুমে অধিক মানুষ গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। রান্নাবান্না করতে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের কোথাও যাওয়ার মতো জায়গা নাই। সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই আমাদেরকে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, ঘর হারিয়ে কয়েকটি পরিবার হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছে খবর পেয়েছি। তাদেরকে দেখে আসব। তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com