স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় বাস চালক শহীদ মিয়ার (২৫) ৩ দিনের রিমান্ড অনুমোদন করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে পুলিশ তাকে সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাগিব নূরের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তিনদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় বাসচালক শহীদকে সুনামগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার সাতদিন পর গত শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শহীদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তিনি ঢাকা থেকে একটি বাসে করে সুনামগঞ্জে আসেন। গ্রেপ্তারের পর আবার ওই দিনই তাকে ঢাকায় সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে ভুক্তভোগী ছাত্রী শহীদ মিয়াকে শনাক্ত করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর শহীদকে দিরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সিআইডি।
দিরাই পৌর শহরে গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে চলন্ত বাসে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বাসের চালক ও তার সহকারী। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে বাস থেকে লাফ দেন ওই ছাত্রী। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেটে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।
ঘটনার রাতেই দিরাই থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া, সহকারী আবদুর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শহীদের বাড়ি সিলেট নগরের জালালাবাদ থানার মৌলারগাঁও এলাকায় আর আবদুর রশিদ ছাতকের কামরাঙ্গীরচর গ্রামের বাসিন্দা। ২৭ ডিসেম্বর রাতে ছাতকের বুরাইয়া গ্রাম থেকে আবদুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর আবদুর রশিদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আরেক বাসের হেলপার বক্করকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।