স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির অধিগ্রহণ ছাড়াই ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম নৈনগাঁও গ্রামের মাওলানা মো. আব্দুর রবের মেয়ে মোছাম্মৎ হামিদা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোনো ধরনের অধিগ্রহণ কিংবা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই একটি অসহায় পরিবারের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ চলছে। সম্প্রতি ভূমির মালিককে অবগত না করেই অন্যায়ভাবে দোয়ারাবাজার ভায়া ছাতকের যাতায়াত রাস্তায় নৈনগাঁও গ্রামের হামিদা বেগমের মালিকানাধীন জমির উপর বাঁশের লাল খুঁটি সংযুক্ত করেন জনজেবী কনস্ট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শামছু মিয়া। এতে ভূূূমির মালিকের পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ভূূূূমির মালিক পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগকারী হামিদা বানু জানান, ভূমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতি পূরণ না দিয়েই ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক করতে জোরপূর্বক আমার একমাত্র ফসলি জমিতে খাল-খন্দক তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করেও একমাত্র ফসলি জমিটুকু রক্ষা করতে না পারায় ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত আমার বাবা মাওলানা আব্দুর রব এখন নির্বিকার। তার চিকিৎসা খরচ চালানো ও কলেজ পড়ুয়া ৪ মেয়ের লেখাপড়ার খরচ আর অভাব অনটনের সংসারের ব্যয় নির্বাহ নিয়ে আমরা এখন দিশেহারা। সড়কের জন্য নির্ধারিত করা মূল জায়গা এড়িয়ে স্থানীয় প্রকৌশলী অফিস ও ঠিকাদারি কো¤পানির যোগসাজশে আমার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী ভূমি মালিকদের অতিরিক্ত সুবিধা দিতে গিয়ে আমাদের সর্বনাশ করা হচ্ছে। এতে ভূমি অধিগ্রহণ আইন অমান্য করা
হয়েছে। আমি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও সুবিচার কামনা করছি।
এবিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম জানান, ওই জমির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। জমির মালিকের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। জোরপূর্বক কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে ব্রীজ ও অ্যাপ্রোচ সড়কের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে না। তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষেই কাজ করা হচ্ছে। সরকারি নিয়মানুযায়ী এই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। তবে একটু সময় লাগবে। আমরা জমির মালিকের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই কাজ করব।