স্টাফ রিপোর্টার ::
“ঘুরে দাঁড়াবো আবার, সবার জন্য মানবাধিকার” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে হাওর এরিয়া আপলিফমেন্ট সোসাইটি (হাউস) ও এএলআরডি নামের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
হাওর এরিয়া আপলিফমেন্ট সোসাইটি (হাউস)-এর নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কার্যকরী সভাপতি ও শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উপদেষ্টা ও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু।
মানবাধিকার রক্ষায় সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭২-এর সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। আমাদের সংবিধান জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকারের সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ। একটি মানুষের জন্ম থেকেই মৌলিক অধিকার তৈরি হয়। আমাদের ৫টি মৌলিক অধিকার রয়েছে কিন্তু বাস্তবে মৌলিক অধিকারগুলো থেকেও অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত। সরকারি হাসপাতালে এখন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষরা যায় কিন্তু চিকিৎসক ব্যস্ত বেসরকারি হাসপাতালে এতে করে অনেক মানুষ চিকিৎসার মৌলিক অধিকার পায় না। এছাড়া ধর্ষণ প্রতিরোধে ও আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে সরকারকে আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে। আমেরিকায় সাদা পুলিশ যখন কালো মানুষকে গলাচেপে মেরে ফেলে সেটা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন হলে বিশ^ব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠে। অপরদিকে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে মানবিক ও দায়িত্বশীল নীতির অনন্য নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।
বক্তারা মানবাধিকার স¤পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাওর এরিয়া আপলিফমেন্ট সোসাইটি (হাউস)-এর পরিচালক একে কুদরত পাশা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মনির উদ্দিন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ স¤পাদক ইমরানুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সভাপতি ফারুক রশিদ, অনির্বাণ মহিলা সমিতির সভানেত্রী জয়িতা শিল্পী বেগম, সৃষ্টি যুব জাগরণের সভানেত্রী তৃষ্ণা আক্তার রুশনা প্রমুখ।