শাল্লা প্রতিনিধি ::
শাল্লায় অসময়ে বীজ বিতরণ করা হচ্ছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে। যা কোনো কাজে আসবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শাল্লা উপজেলা সদরে আসা প্রত্যেক কৃষকেরই ধারণা ছিল তাদের সার দেওয়া হবে। কিন্তু তাদের দেওয়া হয়েছে হাইব্রিড রূপালী বীজধানের ১ কেজির ২টি প্যাকেট। অনেক কৃষক বলেছেন- ‘এই সময়ে বীজ দিব জানলে আমরা আসতাম না। অযথাই টাকা খরচ করে এসেছি। একদিন কামের ক্ষতি হলো।’
উপজেলার খলাপাড়া গ্রামের কৃষক পিযুষ কান্তি দাস বলেন, এখন এই বীজ কোনো কাজে লাগবে না।
একই গ্রামের হরধন দাস বলেন, এখন তো রোয়ার সময়, এই বীজ দিয়ে কি করবো?
আছানপুর গ্রামের হরিপদ দাস বলেন, মাত্র ২ কেজি বীজ দিছে, তাও আবার অসময়ে। যদি সার দিত, তাহলে কাজে লাগতো।
কৃষক প্রাণেশ দাস বলেন, এখন তো আমাদের জালা লায়েখ হইয়া গেছে। এখন রোয়ার সময়।
মনুয়া গ্রামের ফরজ আলী বলেন, এখন কেউ যদি টাকা দিয়া কিনন্যা নেয় দিলাইমু। আনন্দপুর গ্রামের পরশ আলী ও ছমেদ মিয়া বলেন, আমরা মনে করছিলাম সার দিবো। এখন দেখি বীজ দিছে। ইতা নিয়া এখন কিতা করতাম? মাইঝ পথ টাকা গেলো খরচ হইয়া।
অসময়ে সরকারি বীজ বিতরণের বিষয়ে উপজেলায় বীজ নিতে আসা আরো বহু কৃষক এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বীজ নিতে আসা কৃষকদের সাথে কথা বললে এমনই কথাই জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এ.ম মুবিনুজ্জামান চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আরেক কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন, আপনারা সরাসরি সরকারকে জিজ্ঞেস করেন। তিনি আরও বলেন, গত মাসের ২৩ তারিখে জেলায় রেজুলেশন হইছে। তারপর উপজেলায় মিটিং হয়েছে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে অবগত করা হয়েছে। এই প্রসেসিং হওয়ায় একটু বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে এই বীজ বিতরণ করা হবে। এই বীজ বিতরণে আরো দু’একদিন সময় লাগবে।