জয়ন্ত সেন ::
নানামুখী সমস্যায় পড়েছেন শাল্লা উপজেলার কৃষকরা। হাওরের পানি ধীরগতিতে নিষ্কাশিত হওয়ায় বীজতলা তৈরিতেও অনেকটা দেরি হয়েছে। এরমধ্যে বীজতলায় দেখা দিয়েছে উড়ন্ত পোকার আক্রমণ। ফলে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সদ্য গজিয়ে উঠা চারা মরা কীভাবে রোধ করা যাবে জানেন না চাষীরা। অন্যদিকে চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়ছেন তারা।
উপজেলার হাবিবুর গ্রামের কৃষক ছুটন চক্রবর্তী বলেন, আমার বীজতলায় সাদা পোকার আক্রমণে মরে যাচ্ছে চারা। শুধু আমারই না-আমার গ্রামের অনেক কৃষকেরই জালা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আনন্দপুর গ্রামের মালেক মিয়া বলেন, আমার ৩ কেয়ার জমি রোয়ার অর্ধেক জালাই মরে গেছে। আমি বুঝতে পারছি না এখন কি করবো।
একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার জালার পাতাও মরে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আরও অনেক কৃষকের জালাও পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে ২২দিনে জালা রোয়া যায়, সেখানে আজ ২১ দিনেও জালা বড় হয়নি। তার উপর হাঁসের উপদ্রবও কম নয়।
কৃষক সন্তান শংকর রায় বলেন, খামারিদের হাঁসে আমাদের অনেক বীজতলা নষ্ট করে দিয়েছে। এছাড়া গোচারণ ভূমিতে ঘাস উৎপাদন হচ্ছে না। গো খাদ্যের মারাত্মক সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে খামারিদের হাঁস।
বীজতলায় পোকা ও চারা বড় না হওয়ার বিষয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এ.ম মুবিনুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মাঠে যাচ্ছি। কুয়াশার কারণে এমনটা হয়েছে। সকাল বেলা রশি দিয়ে টেনে কুয়াশা ছাড়াতে হবে বীজতলায় আর ছত্রাকনাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে বলে তিনি জানান।