স্টাফ রিপোর্টার ::
তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে চান প্রবাসী গোলাম রহমান গোলাপ। তিনি উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বরকতনগর গ্রামের মৃত রইছ আলীর সন্তান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত নন কমিশন অফিসার তিনি এবং এখন কুয়েত প্রবাসী। শিক্ষাগত দিক দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে ডিপ্লোমা ট্যাকনিশিয়ান (এক্সচেঞ্জ) সম্পন্ন করেছেন তিনি।
গোলাম রহমানের সমর্থকরা জানান, প্রবাসে থেকেও দেশের মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন গোলাম রহমান। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন একজন দক্ষ ড্রিল প্রশিক্ষক ও ভলিবল খেলোয়াড় হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন। নিজ এলাকা ও এলাকার বাইরেও আর্থসামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এবার করোনাকালে প্রবাসে থেকেও নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছেন গোলাম রহমান। তিনি একাধারে কুয়েতস্থ সুনামগঞ্জ সমাজকল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি, কুয়েতস্থ তালতলী প্রবাসী কল্যাণ সমিতি বগুড়ার উপদেষ্টা, দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রবাসী সমাজকল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা, সুনামগঞ্জ রেনেসাঁস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস সোলজার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার শিক্ষা বিষয়ক স¤পাদকের দায়িত্বে আছেন।
গোলাম রহমান বলেন, তারুণ্য একটা শক্তি। আমাদের দেশের বড় একটা অংশ তরুণ প্রজন্ম। তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করব। আমি নির্বাচিত হতে পারলে দলমতের ঊর্ধ্বে, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আমার ইউনিয়ন তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করব। আমার ইউনিয়নের বেকার সমস্যা, স্বাস্থ্যসেবা, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেব। আমার দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা ও সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন সময়ের কর্মতৎপরতাকে কাজে লাগিয়ে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি আশাবাদী আমার ইউনিয়নের মানুষ তাদের কাক্সিক্ষত উন্নয়নে আমাকে সমর্থন করবে। এজন্য সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।