স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত ২৬ নভেম্বর থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। গত রোববার ছিল কর্মবিরতির চতুর্থদিন। ওইদিন বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন, সুনামগঞ্জ সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা শাখা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কার্যালয়ের সামনে কর্মবিরতি পালন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ বখত, জাকির হোসেন সরকার, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্বাছ উদ্দিন, সদস্য সচিব মো. ফরিদুল ইসলাম সুহেল, গৌরী ভট্টাচার্য্য, জেলা বিএইচএএ সভাপতি শহীদুল কবির চৌধুরী সোহাগ, মাসুক আহমদ, হাবিবুর রহমান, বিনয় ভূষণ চক্রবর্তী, পীযুষ কর, পরিমল তালুকদার, মনিরুজ্জামান, জমিলুল ইসলাম, সুলেখা বেগম, রাখু চৌধুরী প্রমুখ।
কর্মবিরতি কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নিয়োগ বিধি সংশোধসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬ থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক আমাদের দাবি মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। সে অনুযায়ী আমরা এখনও কোনো সুবিধা পাইনি। আমরা এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।
এদিকে, বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দোয়াবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।