স্টাফ রিপোর্টার ::
সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থ বছরে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ফসলরক্ষা বাঁধের ভাঙন বন্ধকরণ/মেরামত কাজ বাস্তবায়নে প্রি-ওয়ার্ক জরিপ শুরু হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কিছু কিছু হাওর হতে পানি নিষ্কাশন বিলম্বিত হওয়ায় ওই সকল হাওরের প্রি-ওয়ার্ক জরিপ কাজ বর্তমানে আরম্ভ করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে উক্ত হাওরসমূহের প্রি-ওয়ার্ক জরিপ কাজ গ্রহণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র অনুযায়ী অত্র জেলায় বিভিন্ন হাওরে প্রি-ওয়ার্ক জরিপ কাজে বর্তমানে ২২টি টিম কাজ করছে।
২০১৭ সালে সুনামগঞ্জের সকল হাওরে ঠিকাদারদের অনিয়ম, দুর্নীতি আর গাফিলতিতে শতভাগ ফসলহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এ ছাড়াও চালের দাম সারাদেশেই বৃদ্ধি পায়। ফলে কৃষক-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে সরকার কাবিটা নীতিমালা সংশোধন করে। এই নীতিমালায় ঠিকাদারি প্রথা বিলুপ্ত করে প্রকৃত কৃষকদের নেতৃত্বে পিআইসি’র মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন নীতিমালা জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ কিছুটা ভালো হওয়ায় কৃষকদের সোনালী ফসল গড়ে তুলতে পারেন। গত দুই বছর ওই নীতিমালার আলোকেই হাওরের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। নতুন নীতিমালায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকেও যুক্ত করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফসলরক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন উপজেলা কমিটির সভাপতি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।