ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশায় ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন চলাকালে মোবারক হোসেন (৩৫) নামের এক বখাটের হাতে নারী লাঞ্ছিত হয়েছেন। মানববন্ধনের স্বাভাবিকতাকে নষ্ট ও পণ্ড করে দিতে বুধবার মোবারক হোসেন নামের ওই বখাটেসহ তার সঙ্গীরা ঘটনাটি ঘটায়।
ভুক্তভোগী নারী ওইদিন বিকেলে মোবারক হোসেনসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে ধর্মপাশায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোবারক হোসেন উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দয়ালপুর গ্রামের নোওয়াব আলীর ছেলে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন সেলবরষ ইউনিয়নের সুলতান উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল সানি (২৫) ও একই গ্রামের মিল্টন মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল জাহিদ পিয়ম (২২)।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ ও কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজুয়ান আলী খান আর্নিক চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে এমন অভিযোগ এনে এক নারী গত ১১ নভেম্বর ঢাকার ৯নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগ শামীম আহমেদ মুরাদকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে স্থানীয় আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ শামীম আহমেদ মুরাদ ও রেজুয়ান আলী খান আর্নিকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন বানচাল করতে অভিয্ক্তু মোবারক হোসেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক নারীকে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ওই নারী অন্য নারীর সহযোগিতায় উঠে দাঁড়ান। পাশে থাকা আরেক নারী এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মোবারক হোসেন তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ হুমকি প্রদর্শন ও এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় মোবারকের সঙ্গে থাকা আব্দুল্লাহ আল সানি ও আব্দুল্লাহ আল জাহিদ পিয়েম ওই নারীকে শ্লীলতাহানি করে। এতে উপস্থিত নারী ও পথচারীরা তাদের ধাওয়া করলে তারা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। নির্যাতিত নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অভিযুক্ত মোবারক হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস বলেন, শামীম আহমেদ মুরাদকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শুনেছি আজ তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন চলাকালে মোবারক হোসেন নামের এক ব্যক্তি মানববন্ধন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে ওই নারীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।