স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লায় জলমহাল জোরপূর্বক দখল করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক ব্যক্তি। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে তার অন্য সহযোগীরা। বুধবার দুপুরে উপজেলার মাউতি জলমহাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জলমহালের সংশ্লিষ্টরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ঘটনায় জলমহালে লুট ও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে প্রশাসন ও স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পে মাউতি জলমহালটি ইজারা নেয় স্থানীয় নিয়ামতপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। তারা জলমহাল নীতিমালা মেনে, খনন, বৃক্ষরোপণসহ নানা কাজ করে মৎস্য আহরণের উদ্যোগ নিয়েছে। জলমহালের পাশের সুলতানপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা নামধারী জনৈক ব্যক্তি জলমহালটির ইজারা না পেয়ে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়। তার নির্দেশে বুধবার দুপুরে তার আত্মীয়-স্বজনরা জোরপূর্বক খলাঘর তৈরি করে সেচযন্ত্র লাগিয়ে মাছধরার উদ্যোগ নেয়। খবর পেয়ে ইজারাদারের লোকজন এতে বাধা দিলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে জলমহালের ইজারাদার স্থানীয় থানাকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় জলমহাল দখল করতে আসা লোকদের কাছ থেকে খলাঘর তৈরির উপকরণ, দেশিয় অস্ত্রসহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের ধাওয়ায় দখলবাজরা পালিয়ে গেলেও মানিক মিয়া নামক জলমহাল দখলে আসা এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের ধাওয়ায় দখলবাজরা পালিয়ে গেলেও তারা আবারও জলমহাল দখল করে সংঘর্ষ ও লুটপাট করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইজারাদার।
শাল্লা থানার এসআই করিম বলেন, বৈধ ইজারাদারের অভিযোগে প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সশস্ত্র হয়ে সুলতানপুর গ্রামের কিছু ব্যক্তি জোরপূর্বক জলমহালটি দখলের চেষ্টা করছে। আমরা তাদেরকে কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা তা দেখাতে পারেনি। পরে তাদের অবৈধ খলাঘর ভেঙে দিয়ে দখলের নানা উপকরণ নিয়ে এসেছি। এসময় মানিক মিয়া নামক এক দখলবাজকে আমরা আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।