চয়ন কান্তি দাস ::
দিনের বেলায় যেমন-তেমন রাতের বেলায় মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ধর্মপাশা উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহক। বিদ্যুতের বেহাল দশার কারণে আবাসিক ও বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অধীনে থাকা ধর্মপাশার জনগণ। এতে করে তীব্র গরমে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ গ্রিড উপ-কেন্দ্রের ৩৩ কেভির তিন নং সার্কিটের গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ঠাকুরাকোনা অংশে মাসব্যাপী সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। এ জন্য শুক্রবার ও রোববার ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চারটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। বিষয়টি সমিতির পক্ষ থেকে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য মাইকিংসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হয়। তবে ঘোষণা অনুযায়ী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি নির্ধারিত সময়ের বাইরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে ভোগান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে। মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পরেও সরবরাহ করা হয় না বিদ্যুৎ। দিনের বেলায় যেমন তেমন রাতের বেলায় প্রায়ই দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় গরমে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যের চরম ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
ধর্মপাশা গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল হক বলেন, রাতের বেলায়তো আর কাজ থাকেনা। রাতেও যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে কিভাবে হয়? সংশ্লিষ্টদের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায় না।
সদর ইউনিয়নের নোয়াবন্দ গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, রাতে প্রায়ই বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরমে কষ্ট করতে হয়। বিদ্যুৎনির্ভর ঘর গৃহস্থালীর কাজেও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে।
নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, লাইনে লোড বেশি থাকায় প্রায়ই সমস্যা দেখা দেয়। উন্নয়নকাজ শেষ হলে অতিদ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।