1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

লুটপাটের রাজনীতি নির্মূল হোক

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

গত বৃহস্পতিবারের (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০) একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে দুর্নীতি সংঘটনে রাজনীতিক প্রভাব এখনও প্রকটাকারে বিদ্যমান। ‘সরকারি ক্রয়ে সুশাসন : বাংলাদেশে ই-জিপির কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলেছে, ‘ই-জিপিতে সরকারি কেনাকাটার প্রক্রিয়া সহজ হলেও কার্যাদেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও রাজনৈতিক প্রভাব প্রকট।’ গবেষণায় দেখা গেছে রাজনীতিক নেতার সঙ্গে ঠিকাদারের যোগসাজশ, জনপ্রতিনিধি হয়েও দরপত্রে অংশগ্রহণ এবং সিন্ডিকেট এখনও সরকারি কেনাকাটায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে, এবং অবশ্যই সে ভূমিকাটি দুর্নীতিমূলক।
দুর্নীতির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শক আর একটি সংবাদ প্রতিবেদনের শুরুটি এরকম, ‘সোনায় মোড়ানো কেনো তালা নয়, তবু একটি তালার দাম পড়েছে পাঁচ হাজার ৫৫০ টাকা। রুপার প্রলেপ দেওয়া বালতি নয়, তার পরও একটি প্লাস্টিকের বালতি কিনতে লেগেছে এক হাজার ৮৯০ টাকা আর সাধারণ ফুঁ দেওয়া যে বাঁশি, সেটা ৪১৫ টাকায় কেনা।’ এমন বিস্ময়কর ও পিলে চমকানো যাকে বলে একেবারে সাগরচুরি সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কেনাকাটায়। হিসেব করে দেখা গেছে টাকার অঙ্কে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশনের মালপত্র কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দামে কেনা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এ বছরের শুরুর দিকে পরিবহন অডিট অধিদপ্তর রেলওয়ের বিভিন্ন মাল কেনাকাটাসহ অন্যান্য বিষয়ে নিরীক্ষা করেছে এবং এই নিরীক্ষা প্রতিবেদনের কপি এসেছে পত্রিকার হাতে, যা থেকে পাওয়া গেছে এসব চাঞ্চল্যকর তগলকি তথ্য।
ইতোমধ্যে প্রতিবেদনটি নাকি পরিবহন অডিট অধিদপ্তর থেকে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছেও গেছে। এখন প্রশ্ন হলো, সচিব কী করবেন এবং কী করবেন সরকার? এই দুর্নীতির হোতাদের কি খোঁজে পাওয়া যাবে না? এর কোনও প্রতিকার হবে না? নাকি সর্ষের ভূতের প্রাপঞ্চিকতা পেয়ে বহালতবিয়তেই যাবে?
এইসব প্রশ্নের উত্তরে একটাই উত্তর, পাওয়া যাবে কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। ব্যবস্থা যাঁরা নেবেন তাঁরাই তো কোনও-না-কোনও-ভাবে এই সব চুরিচামারি-লুটপাটের প্রকৃত হোতা, তাঁরা এখনও দেশটার দণ্ডমুণ্ডের মালিক এবং তাঁরা সকলেই এক রসুনের মূল পুঁজিবাদের প্রবল পুত্রগণ। অভিযোগ আছে একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা আওয়ামী লীগের বরপুত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তার পেছনেও আছেন তথাকথিত আওয়ামী লীগ করনেওয়ালারা, যাঁরা আদর্শের দিক থেকে আওয়ামী লীগের আদর্শিক শত্রু কিন্তু করেন আওয়ামী লীগ, যাঁরা রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধার পদক দিয়ে বুকে টেনে নিয়েছেন।
আমাদের ভরসা আপাতত জনবান্ধব রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনা ও তাঁর রাজনীতি। তাঁর উন্নয়নমুখি রাজনীতি থেকে এইসব চুরিচামারি-লুটপাট ও লুটপাটের রাজনীতির সমূলে উৎপাটন হোক এই প্রত্যাশা করি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com