স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে ‘বিনা’ উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বন্যা-খরাসহিষ্ণু ধানের চাষাবাদ ও ফলস সংরক্ষণ কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিনা) উপকেন্দ্র সুনামগঞ্জের আয়োজনে ও রাজস্ব-এর অর্থায়নে শহরের বুড়িস্থলস্থ বিনা উপকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে শতাধিক কৃষক কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।
ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মো. হাসানুজ্জামান রনির সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠানের এসও মাহবুবুর রহমান অপুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সফর উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সফর উদ্দিন বলেন, কৃষকরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কাজেই কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে পারলে এবং দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ের আগেই বিনা -৭,১১,১২,১৩.১৬.১৭.২০ ও উচ্চজাতের ফলন ধান ঘরে তোলা সম্ভব। তাই এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষক কৃষাণীরা আগামীতে জমিতে এই বিনা ধান রোপণ করে উচ্চফলনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে কৃষক কৃষাণীদের মধ্যে বিনাজাতের ১ কেজি করে বীজ ধান বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।