স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মতিউর রহমান বলেছেন, সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে আগাম বন্যার ভয় কেটে গেছে। কৃষকের ফসল ঘরে তোলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাইরে থেকে বেকার হয়ে আসা কর্মজীবীরা ধান কেটে আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। করোনাভাইরাসের থেকেও আমরা মুক্তি পাব। কিন্তু সামনে আমাদের সম্মুখে বেকারত্বের কঠিন চ্যালেঞ্জ আসছে। কর্মক্ষম মানুষ ত্রাণ কিংবা সাহায্য নয়, কর্ম চায়। বাইরের জেলা থেকে বেকার হয়ে যারা জেলায় এসেছেন তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত হাওরে অবাধে মাছ ধরার সুযোগ দিতে হবে।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, বালু-পাথর উত্তোলণের উপর নির্ভর করে যাদুকাটা ও ধোপাজান নদীপাড়ে যে জনপদ গড়ে উঠেছে তাদের জীবন জীবিকার কথা বিবেচনা করে বালু-পাথরের মহাল দুটি শ্রমিকদের জন্য খুলে দিতে হবে। কারণ একটি বারকি নৌকায় নিরাপদ দূরত্ব বাজায় রেখে মাত্র দুজন শ্রমিক কাজ করেন। কাজেই সেখান থেকে ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা প্রায় নেই।
করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে সাবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়জ্জেম হোসেন রতন প্রমুখ। জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় সুনামগঞ্জ জেলার অর্থনীতিকে সচল রাখতে এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।