1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সুনামগঞ্জে ৪৮ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগের ফলে হাওরের কৃষকেরা ভালোভাবে ধান কাটতে পারছে। ইতোমধ্যে ৪৪ শতাংশ ধান কেটে ঘরে তুলেছে তারা। শনিবার (২৫ এপ্রিল) কৃষিমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে হাওরাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই সাতটি জেলায় এবছর শুধু হাওরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত কাটা হয়েছে ১.৯৮ লাখ হেক্টর জমির ধান যা শতকরা ৪৪ ভাগ। সিলেটে ৫৩ শতাংশ, মৌলভীবাজারে ৫৪ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৩৭ শতাংশ, সুনামগঞ্জে ৪৮ শতাংশ, নেত্রকোনায় ৫৬ শতাং ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৬ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। হাওর এলাকায় ৩ লাখ ৯ হাজার ২৪৪ জন শ্রমিক, ৩৫৯টি কম্বাইন হার্ভেস্টার ও ৪৪২টি রিপার ধান কাটার কাজে নিয়োজিত আছে।
তিনি আরও বলেন বলেন, পরিবহন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ধান কাটার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা আমরা করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসেছে। শ্রমিকের পাশাপাশি হাওর এলাকায় ধান কাটার জন্য কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও রিপার ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে পুরোদমে ধান কাটা চলছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্রি-২৮ জাতের ধান আগে পাকে, এটি কাটা প্রায় শেষ হয়েছে। ব্রি-২৯ জাতের ধান এখনো পাকে নাই, আরও ৭-৮ দিন সময় লাগবে। অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত বা আগাম বন্যা না হলে যে গতিতে ধান কাটা চলছে, আমরা আশাবাদী হাওরের কৃষকেরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারবে।
পাশাপাশি কৃষিমন্ত্রী সামাজিক সচেতনতার ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন-কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষ যারা ধান কাটায় এগিয়ে এসেছেন, কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত ও সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার বিষয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ইতোমধ্যেই সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছে। করোনার কারণে খাদ্য সংকটে পড়তে পারে পুরো বিশ্ব। দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষও। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই করোনা মহামারির কারণে মন্দার হাত থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও মজুদ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি, কৃষি উৎপাদন ও বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে পারবো। বাংলাদেশে খাদ্যের সংকট হবে না, তার জন্য যা যা করা দরকার, আমরা সেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com