স্টাফ রিপোর্টার ::
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গত ২৪ মার্চ থেকে একযোগে দায়িত্ব পালন করছে। জিওসি ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সিলেট এরিয়া মেজর মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন এসইউপি-এর সার্বিক নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সেনাসদস্যগণ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
জিওসি ১৭ পদাতিক ডিভিশন নিয়মিতভাবে সিলেট বিভাগের প্রতিটি অঞ্চল পরিদর্শনের মাধ্যমে নিয়োজিত সেনাসদস্যগণের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর ও জগন্নাথপুর উপজেলা; হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ, বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাসমূহে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার জেলায় প্রস্তাবিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারসমূহের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রত্যক্ষ করেন। উল্লেখ্য, এ সকল কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকল্পে সেনাবাহিনীর সার্বিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় এ কেন্দ্রগুলো পরিচালিত হবে। এ সময় তিনি জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন এবং স্থানীয় অন্যান্য বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথেও মতবিনিময় করেন। তিনি টহলরত সেনাসদস্যদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের দুর্দশা লাঘবে কার্যকরী ভূমিকা পালনের জন্য টহল কমান্ডারদের নির্দেশ প্রদান করেন।
করেনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্ধারিত কার্যক্রমের পাশাপাশি দুঃস্থ জনসাধারণের মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সেনাসদস্যদের অনুপ্রাণিত করেন। একইসাথে চিকিৎসকসহ সর্বমহলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা, জনগণের সহায়তা এবং সেনাসদস্যদের আন্তরিক ও নিরলস শ্রমের মাধ্যমে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত যুদ্ধ জয়ে আমরা সক্ষম হব বলে জিওসি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।