1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর

  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
অবশেষে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে একদল জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসি কার্যকরের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা জেলা প্রশাসক, সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসির প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে যান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত ছিল। তাই রাত ১০টার পর আবদুল মাজেদকে তার সেলে গিয়ে তওবা পড়িয়েছেন কারা মসজিদের ইমাম। কারা সূত্র জানায়, চিৎকার করে কেঁদে তওবা পড়েছেন ক্যাপ্টেন মাজেদ।
এদিকে মাজেদের মরদেহ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন মাজেদের মৃত্যু নিশ্চিতের পর তাকে যে কোনো একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হবে।
ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জের কারাগারের চারপাশে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এরপর থেকেই শুরু হয় তার ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া। কারাবিধি অনুযায়ী শুক্রবার তার পরিবারের ৫ জন সদস্য শেষ সাক্ষাৎ করেন। আর আজ রাতে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো হলো মাজেদকে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com