মাসুম হেলাল::
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতার মেনে চলার এই সময়ে হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার কৃষকরা যাতে বছরের একটিমাত্র ফসল বোরো ধান নিরাপদে-নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারেন সেই লক্ষ্যে নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রশাসনকে কৃষি শ্রমিকদের তালিকা সরবরাহ, অসুস্থ হলে ডাক্তারকে জানানো, দুর্গম হাওরে কৃষি শ্রমিকদের রাত্রিযাপনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহারের সুযোগ, কৃষি যন্ত্রপাতির দোকান বন্ধের আওতামুক্ত, বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক না আনা ইত্যাদি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ তাঁর ফেসবুক একাউন্ট থেকে ধান কাটার লক্ষ্যে প্রশাসনের নেওয়া উদ্যোগ ও নির্দেশনার কথা নিয়মিত আপডেট দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, হাওরে ধানকাটা কৃষি শ্রমিকের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হবে। শ্রমিকদের কেউ অসুস্থ হলে নিকটস্থ চিকিৎসককে জাননোর জন্য গৃহস্থদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, দুর্গম হাওরে ধানকাটার কৃষি শ্রমিকদের রাত্রিযাপনের জন্য স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তবে এ ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
অপরদিক, হাওরে ধান কাটার জন্য নিজ নিজ এলাকার কৃষিশ্রমিক নিয়োজিত করে বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক আনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধানকাটার মেশিন ঠিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্কশপ ও দোকান খোলা থাকবে।
ধানকাটার শ্রমিক সংকট উত্তরণে প্রশাসন জেলার সবগুলো বালু-পাথর মহাল বন্ধ ঘোষণা করে বারকি শ্রমিকদের ধানকাটার কাজে নিয়োজিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।