স্টাফ রিপোর্টার ::
সারাবিশ্বের ন্যায় করোনা আতঙ্কে উদ্বিগ্ন সুনামগঞ্জের মানুষজনও। গত দুইদিন ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। রাস্তাঘাটও অনেকটা ফাঁকা। তবে এই পরিস্থিতিতে অনেকটা অসহায় অবস্থায় আছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা। ছোট ছোট মনোহারি দোকান, রেস্টুরেন্ট, কাপড় ও প্রসাধনীর দোকানে ক্রেতা কমে গেছে। অন্যদিকে রিকসা, অটোরিকসা ও সিএনজিতেও মানুষের চলাচলও কম। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগরে ছোট রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে সংসার চালান মধ্যনগরের ঋতু সরকার। দোকান ভাড়া ও বাসা ভাড়া দিয়ে কোনো মতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন। ঋতু সরকার জানান, করোনা ছোঁয়াছে রোগ এই ভয়ে এখন আমার দোকানে কাস্টমার নেই। বিক্রি আগের চেয়ে তিনভাগের একভাগও হচ্ছে না। দুইজন কারিগর রাখাও পোষাচ্ছেনা। এভাবে চললে ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া তার কোন উপায় থাকবে না বলে জানান তিনি।
কাজীর পয়েন্টের ইনসাফ রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী টিপু বলেন, গত তিনদিন ধরে অবস্থা খুবই খারাপ। বিকিকিনি নেই। কাস্টমার আসে না। আমার মতো অন্যান্য দোকানদারদেরও করুণ অবস্থা। তিনি বলেন, জানিনা এভাবে কতদিন চলবে।
উকিলপাড়ার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মলয় চক্রবর্তী রাজু বলেন, করোনা আতঙ্কে সচ্ছল মানুষরা দোকান থেকে নিত্যপণ্য সংগ্রহ করছেন বেশি করে। এতে একদিকে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে গরিব ও অসহায় মানুষেরা বিপাকে পড়ছে। তারা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে আরো বড় সংকটে পড়েছে। তিনি নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ অসহায় মানুষদের সহযোগিতার জন্য বিত্তবানদের আহ্বান জানান।
পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, এভাবে চললে নিম্নআয়ের মানুষের অবস্থা খুব খারাপ হবে। আমি সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে পৌর শহরে নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য মাইকিং করিয়েছি।