শহীদনূর আহমেদ ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের কাংলার হাওরের ফসলরক্ষার জন্যে কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী তিনটি পিআইসির মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। বাঁধের কাজে নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ইউনিয়নের ৯ (ক) নং পিআইসিতে বালু দিয়ে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত বাঁধ সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
শনিবার বিকেলে রঙ্গারচর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রাম সংলগ্ন কাংলার হাওরে নির্মিত বাঁধ পরিদর্শন শেষে এক পথসভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, সহ-সভাপতি চন্দন কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক শহীদনূর আহমেদ প্রমুখ। এসময় কাংলার হাওরপাড়ের কৃষকসহ সাধারণ উপকারভোগী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। ভারি বৃষ্টিপাতে এসব বাঁধ ভেঙে ফসলহানির শঙ্কার কথা জানান। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা যায়, কাংলার হাওরে তিনটি পিআইসির মধ্যে ৯(ক)নং এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ১ কিলোমিটার ৫১০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধটি সম্পূর্ণ বালি মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। চলমান এই পিআইসিতে সমপরিমাণ টাকায় গত বছরও বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। যা এ বছর অক্ষত রয়েছে। এই অক্ষত বাঁধে বালি মাটির প্রলেপ দিয়ে বরাদ্দের টাকা হজমের অভিযোগ উঠেছে পিআইসির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরুজ আলীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জাকির হোসেন জানান, গত বছরের বাঁধ অক্ষত ছিল। বাঁধের নিকট থেকে বালি মাটি এনে প্রলেপ দেয়া হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে এই বাঁধ আর টিকবে না।
সরেজমিন পরিদর্শন শেষে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার রায় বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে বাঁধ পরিদর্শন করে যা দেখলাম তা অত্যন্ত হতাশাজনক। বাঁধের কাজে নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। বালি দিয়ে সম্পূর্ণ বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। ফলে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে পিআইসি সভাপতি সুরুজ মিয়ার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।