স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৮ মার্চ শাল্লা আসছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত “মুজিববর্ষে হাওর উৎসব”-এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি উৎসবের শুভ সূচনা করবেন।
জানাযায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে “মুজিববর্ষে হাওর উৎসব” হবে বেসরকারিভাবে বৃহৎ পরিসরে। ঢাকাস্থ শাল্লা সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় ও মুজিববর্ষে হাওর উৎসব উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই হাওর উৎসব তিন জেলাবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হবে।
আয়োজকরা জানান, শাল্লার উপজেলার শাল্লা গ্রামটি উপজেলার শেষপ্রান্তে হওয়ায় কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার মানুষেরাও তিনদিনব্যাপী হাওর উৎসবে আসবেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আগমন উপলক্ষে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আয়োজক কমিটি। তাছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি’র আগমন স্থান পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আগমন উপলক্ষে সড়ক, বিদ্যুৎ ও পানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদারকি করতে একটি টিম গতকাল মঙ্গলবার সকালে শাল্লা উপজেলায় গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। অন্যদিকে হাওরপ্রধান জেলাগুলোকে মুজিববর্ষে হাওর উৎসবে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সবরকমের প্রস্তুতি নিয়েছে আয়োজক কমিটি।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানাযায়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২৮ মার্চ দুপুরে শাল্লা এসে পৌঁছবেন। শাল্লা গ্রামের আছলাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি হাওর উৎসবের উদ্বোধন করবেন এবং সুনামগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করবেন। ওইদিন সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের সংসদ সদস্যসহ কিশোরগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ জেলার সংসদ সদস্যগণ উপস্থিত থাকবেন।
শাল্লা উপজেলার বাসিন্দা আনিসুল হক বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয় শাল্লায় আসবেন এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। শাল্লাবাসী মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আগমন উপলক্ষে আনন্দে রয়েছে। তাছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে হাওর উৎসব হওয়ায় মানুষজন উৎসবের দিনগুলোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
মুজিববর্ষে হাওর উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও পিজি হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম রাষ্ট্রপতি’র আগমন নিশ্চিত করে বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য মুজিববর্ষে হাওর উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। তাঁর আগমন উপলক্ষে আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো সুন্দরভাবে হয়ে গেলে আমরা অনুষ্ঠানসূচিও সবাইকে জানিয়ে দিব।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ দৈনিক সুনামকণ্ঠকে বলেন, আমি ইতিমধ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতির স্থান ও মঞ্চস্থান পরিদর্শন করেছি। আজ (মঙ্গলবার) একটি দল শাল্লা গেছে। সেখানে বিদ্যুৎ, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলীরা গেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির আগমনে যেন কোন রকমের সমস্যা না হয় আমরা সেভাবেই কাজ করছি।