তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
তাহিরপুর উপজেলা বৃহৎ মাটিয়ান হাওরের ৬০নং প্রকল্পের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে চরম গাফিলতি ও পিআইসি সভাপতি আবুল খায়ের-এর বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষকদের নানামুখী অভিযোগ শীর্ষক সংবাদ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাসহ অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ হয়। এই সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক ভোরের ডাক-এর তাহিরপুর প্রতিনিধি ও দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র স্টাফ রিপোর্টার রাজন চন্দ-এর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ পিআইসি সভাপতি আবুল খায়ের সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করেছেন।
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে অভিযোগ করায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা ও উপজেলায় কর্মরত মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীরা।
সাংবাদিক রাজন চন্দ জানিয়েছেন, পিআইসি সভাপতি আবুল খায়ের-এর বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষকদের নানামুখী অভিযোগসহ বাঁধের কাজে অনিয়ম ও গাফিলতি নিয়ে একটি সংবাদ লিখেছিলাম। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আমার বিরুদ্ধে নাটকীয় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে হয়রানি করতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ তৈরির নির্ধারিত শেষ দিন ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন সরেজমিনে মাটিয়ান হাওরের ৬০নং প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধ নির্মাণকাজের শেষ দিনে যেন এ বাঁধটির নির্মাণ কাজ সবে মাত্র শুরু হয়েছে। মাটিয়ান হাওরের বোরো ফসলরক্ষায় এ বাঁধটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় বাঁধের পাশে উপস্থিত একাধিক কৃষক জানান, বাঁধ নির্মাণে পিআইসি সভাপতি আবুল খায়ের চরম অনিয়ম-গাফিলতি শুরু করছেন। তিনি সবসময় সুনামগঞ্জে থাকেন উনাকে এই বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব দিলেও তিনি অন্য লোকজন দিয়ে বাঁধের কাজ শুরু করেছেন।