স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সদ্য প্রয়াত তিন নেতার প্রয়াণে সুনামগঞ্জে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ, কমিটির সিনিয়র সদস্য আব্দুল মজিদ কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলন দরগাপাশা ইউনিয়ন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিন আমরিয়ার প্রয়াণে শোকসভার আয়োজন করে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়ের সঞ্চালনায় শোকসভায় প্রয়াত তিন কৃষক নেতার স্মৃতিচারণ করে পৃথক শোকবার্তা প্রদান করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোর্শেদ আলম, ইয়াকুব বখত বাহলুল, ওবায়দুল হক মিলন।
শোকসভায় বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা শীলা রায়, রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, নৃপেশ তালুকদার নানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ডা. মোর্শেদ আলম, ইয়াকুব বখত বহলুল, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহিন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, সহ সভাপতি চন্দন কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক শহীদনূর আহমেদ, মানব চৌধুরী, আফরোজ রায়হান, ফারুক আহমদ, মাহবুব হোসেন, বিজয় কান্তি চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, বাঁধ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ, দিরাই উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম সরদার, সাংবাদিক আমিনুল হক, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ইকবাল আল আজাদ, প্রয়াত আশিন আমরিয়ার ছেলে ইরাম হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, প্রয়াত এই তিন কৃষক নেতা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের প্রয়াণে জেলার হাওর ও কৃষক আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ছে। তারা ২০১৭ সালে হাওর ডুবির পর কৃষকের দাবি আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। সততা ও নীতির প্রশ্নে তারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে আপসহীন ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও অসম্প্রাদায়িক চেতনায় উদ্বুব্ধ হয়ে আজীবন সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন। অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম জীবনের শেষদিন পর্যন্ত হাওরের কৃষদের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছেন। আশিন আমরিয়া একজন দেশপ্রেমিক সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। হাওর আন্দোলনে এই তিন গুণীব্যক্তির অবদান কখনও ভুলার নয়।