1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ : কারাগারে থেকেও চার্জশিটভুক্ত আসামি!

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) ভোটগ্রহণ চলাকালীন একটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালেটবাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঘটনার সময় কারাগারে থাকা বিরোধীদলের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ! অভিযোগপত্রে কথিত অভিযুক্তরা হলেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার পিঠাপসি গ্রামের মৃত আরজক আলীর ছেলে আবদাল মিয়া এবং কাড়ারাই গ্রামের ওয়াহ আলীর ছেলে জমিয়ত নেতা ছালিক মিয়া। ‘হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা এই গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি ও জমিয়তের এই দুই নেতা।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও মালামাল ক্রোকের আদেশ হলে সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন তারা।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার কাড়ারাই মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা (জিআর ১/২০১৯) করেন ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার ও কৃষি ব্যাংক ডুংরিয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার মাহমুদ। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর ভোটকেন্দ্রে ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন। অভিযোগপত্রের ৯ নম্বর ক্রমিকে আবদাল মিয়া ও ১০ নম্বর ক্রমিকে ছালিক মিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা অপর একটি মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জন বিএনপি-জমিয়ত নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা (জিআর ১০১/২০১৮) দায়ের করে। ওই মামলায় ২৭ ডিসেম্বর আবদাল মিয়া ও ২৮ ডিসেম্বর ছালিক মিয়া গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে নির্বাচনের প্রায় একমাস পরে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি আবদাল মিয়া ও ১০ ফেব্রুয়ারি ছালিক মিয়া আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন কথিত ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় ওই দুই বিরোধীদলের নেতা কারাগারে থাকার পরও ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ে তাদের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ জোনের আমলগ্রহণকারী আদালতে ওই অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, সোর্স কর্তৃক ভুল তথ্য প্রদানের কারণে অভিযোগপত্রে এই দুইজনের নাম চলে এসেছে। এটি সংশোধন করে আমরা সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করব।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলী বলেন, জেলহাজতে থাকা দুই জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ কর্তৃক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের ঘটনায় প্রমাণিত হয় ব্যালেটবাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের করা সম্পূর্ণ মামলাটিই হয়রানি ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছে। কোনরূপ তদন্তছাড়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা কীভাবে আদালতে এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগপত্র দাখিল করলেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের এমএ মান্নানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com