জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুরে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম থামছে না। অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ছোট কাজে দেয়া হয়েছে বড় বরাদ্দ।
এ প্রতিবেদক রোববার সরেজমিনে জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরপাড়ে গেলে ফসলরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয় কৃষকরা।
এদিকে, মইয়ার হাওর রক্ষা বাঁধের ২৪ নং পিআইসি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২টি ভাঙন মাটি ভরাট করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। যদিও ২৬০ মিটার কাজের বিপরীতে পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিলকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাঁধের কাছ থেকে কাটা হয়েছে মাটি।
২৫নং পিআইসিতে একটি ভাঙনে মাটি ভরাট হয়েছে। এতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার কাজ হয়েছে বলে কৃষকরা জানান। যদিও ১১৩ মিটার কাজের বিপরীতে পিআইসি কমিটির সভাপতি আবুল বশরকে দেয়া হয়েছে ৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাঁধের কাছ থেকে গর্ত করে তোলা হয়েছে মাটি।
২৬নং পিআইসিতে ২টি ভাঙনে নামমাত্র কাজ হয়েছে। এতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার কাজ হলেও পিআইসি কমিটির সভাপতি এলাছি বিবিকে দেয়া হয়েছে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ। এমন অভিযোগ হাওরে জমি চাষাবাদ করতে আসা কৃষকদের।
এছাড়া উপজেলার নলুয়ার হাওর বেড়িবাঁধের ভুরাখালি গ্রাম এলাকায় ১৪ লাখ টাকায় ৬নং পিআইসির সভাপতি হাবিবুর রহমানের কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) হাসান গাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিল, এলাছি বিবি ও হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তারা অনিয়মের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
জগন্নাথপুরে বাঁধের কাজ : অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে

Leave a Reply