সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সুনামগঞ্জসহ দেশের আরও ১৫টি জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নিয়োগ বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মাহামুদুল হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন।
নিয়োগ স্থগিত হওয়া জেলাগুলো হলো- সিলেট, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, ঠাকুরগাঁ, বগুড়া, ঝিনাইদহ, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও নাটোর।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দেশের ২১টি জেলার প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। এছাড়া ২৭ জানুয়ারি একই বেঞ্চ আরও চারটি জেলায় নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
রোববার স্থগিত জেলাগুলোর মধ্যে ইতোপূর্বে স্থগিত জেলাও রয়েছে।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর দেশের কয়েকটি জেলার নিয়োগ প্রার্থীদের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ নিয়োগের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেন।
রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ লঙ্ঘন করে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফল কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং একইসঙ্গে ঘোষিত ফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফল কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ রুলের ফলে অনেক জেলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্থগিত হওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থীদের এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। সে প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রোববার আরো ১৫টি জেলায় নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।