শাল্লা প্রতিনিধি ::
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেছেন, যেভাবে ফসলরক্ষার জন্য বাঁধের কাজ হচ্ছে তা দেখে মনে হয় কৌটায় মুড়ি ভরার মতো। এভাবে কমপেকশন ছাড়া কাজ হলে বৃষ্টিতেই বাঁধ ধসে যাবে। আমি বাঁধের কাজ দেখে মোটেও সন্তুষ্ট নই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটি কোটি টাকা দিচ্ছেন হাওরের ফসলরক্ষা করার জন্য, বাঁধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য নয়। মনে রাখবেন ২০১৭ সালের পর থেকে ঠিকাদারের কাজ আপনাদের হাতে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের ফসল আপনাদেরই রক্ষা করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করুন। না পারলে পিআইসি নেবেন না। আপনারা প্রত্যেক পিআইসি মোবাইলে বাঁধের ভিডিও করে রাখবেন। দায়সারাভাবে কাজ করলে বিল পাবেন না।
বৃহ¯পতিবার সন্ধ্যায় শাল্লা উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে পিআইসিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ আরো বলেন, অপ্রয়োজনীয় পিআইসি থাকলে তা বাতিল করুন। এই দায় কিন্তু আমি বহন করবো না। কারণ এটি কর্মসৃজন কাজ নয়, এটি হাওরের ফসলরক্ষার কাজ।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মুক্তাদির হোসেনের সভাপতিত্বে ও শিক্ষা কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, পিআইসিদের পক্ষ থেকে বাদল চন্দ্র দাস, এমদাদুল হক ও সবুজ আহমেদ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার রিফাতুল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. দিপু রঞ্জন দাস প্রমুখ।
এর পূর্বে জেলা প্রশাসক আটগাঁও ইউনিয়নের কালিকোটা হাওরের ৫৩, ৫৬, ৫৭ ও ৫৮ নং পিআইসির বাঁধ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বাঁধের কাজের গতি ও নিম্নমানের কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পিআইসিদের বাঁধে না পেয়ে তিনি ফোন করেন। কিন্তু অনেক পিআইসির ফোন বন্ধ পান। তাতেও ক্ষুব্ধ হন জেলা প্রশাসক।