স্টাফ রিপোর্টার ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৫০টি প্রকল্পে ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দে বেড়িবাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। বিগত বছরের নির্মিত বেঁড়িবাঁধের কাজে পুনরায় প্রকল্প গ্রহণ ও একাধিক স্থানের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করার অভিযোগ থাকলেও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজারে প্রকল্প গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্ট হাওরের বোরো ফসল অরক্ষিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, উপজেলার অন্যতম বোরো ফসলের হাওর সাংহাই হাওর। হাওরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে এলজিইডি’র আশাম্বুরা-জয়সিদ্ধি সাবমার্জেবল সড়ক থাকলেও এই সড়কের কয়েকটি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজার রয়েছে। যার মধ্যে লোমারাইর দাইড়ে একটি স্লুইজগেইট থাকলেও এই পূর্ব পাশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া সড়কের দু’পাশের অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে কংক্রিটে। গত বর্ষায় এই সড়কের ফুটকা বিলের খাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাত্মকভাবে। এছাড়াও এই সড়কে একাধিক ভাঙ্গা রয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে অকাল বন্যা দেখা দিলে সাংহাই হাওরে পানি ঢোকার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাওরপাড়ের কৃষকরা। লোমাইর দাইড় ও ফুটকাবিলের খাড়াসহ কয়েকটি স্থানে প্রকল্প গ্রহণ করে বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আসামমুড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, লোমাইর দাইড়ে স্লুইসগেইট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সড়কের দুইপাশের মাটি সরে গেছে। একটু পানির চাপেই স্লুইসগেইটের অ্যাপ্রোচ ভেঙে সাংহাই হাওরে পানি ঢুকে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। হাওরের ফসল সুরক্ষায় দ্রুত সময়ে এই স্থানে প্রকল্প গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
জয়সিদ্ধি গ্রামের সাবুল আমিন বলেন, গত বছর ফুটকা বিলের ভাঙ্গা দিয়ে সাংহাই হাওরে পানি ঢুকেছে। এবছর এই ভাঙ্গাটি উন্মুক্ত আছে। নদীতে যদি পানি বাড়ে তাহলে এই ভাঙ্গা দিয়ে পানি হাওরে ঢুকবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই ভাঙ্গা বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া এই রাস্তায় আরো কয়েকটি ছোট খাড়া রয়েছে। যা দিয়ে হাওরে পানি ঢুকতে পারে।
পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ আমিন বলেন, আসামমুড়া-জয়সিদ্ধি সাবমার্জেবল সড়কের পাশ দিয়ে একটি বেড়িবাঁধের খুবই প্রয়োজন। কেননা এই সড়কে একাধিক ভাঙা রয়েছে। যা দিয়ে হাওরে পানি ঢোকার শঙ্কা রয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তাছাড়া এই সড়কটি ছাড়াও কাশিপুর স্লুইস গেইট হতে জয়সিদ্ধি পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিকল্প জায়গা আছে। যা দিয়ে সাংহাই হাওরের ফসল রক্ষা করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডর সহকারী প্রকৌশলী ফারুক আল মামুন বলেন, আমরা আসামমুড়া-জয়সিদ্ধি সড়কের একাধিক স্থান ক্ষতিগ্রস্ত। এখানে আমরা প্রকল্প গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম। এটি মূলত এলজিইডি’র সড়ক। আমরা এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছি। তারা সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।