স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জে উন্মুক্ত সুরমা নদীতে জেলেদের মৎস্য ঘের দখল করে চাঁদাবাজিসহ তাদের বেধড়ক মারধরের প্রতিবাদে উপজেলার মফিজনগর গ্রামের প্রত্যাশা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির জেলে এবং সমর্থক ৫শতাধিক লোকজন ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে মানববন্ধনকারীরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ জানুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের নিকটে উন্মুক্ত সুরমা নদীতে মফিজনগর গ্রামের প্রত্যাশা সমবায় সমিতির নিবন্ধিত জেলেদের মাছের ঘের দখল নিয়ে নুরপুর গ্রামের প্রভাবশালী লোকেরা অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা করে ও জেলেদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। নতুবা জেলেদের মাছের ঘেরে নামতে দেওয়া হবেনা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এসময় দরিদ্র জেলেরা কোন প্রকার চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের উপর চড়াও হয় প্রভাশালীরা। এক পর্যায়ে জেলেদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে ৪ জনকে গুরুতর আহত করা হয়। এরপর জেলেদেরকে পিটিয়ে মাছের ঘের থেকে বের করে দিয়ে নিজেরাই ঘেরের দখল নিয়ে নেয়। বর্তমানে ওই প্রভাবশালীদের ভয়ে জেলেরা তাদের মাছের ঘেরে নামতে না পারায় মৎস্য আহরণও করতে পারছেন না। মৎস্য আহরণই এইসব জেলেদের একমাত্র পেশা। হামলাকারীরা চাঁদা না পেয়ে জেলেদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার কারণে ভয়ে উন্মুক্ত সুরমা নদীতে নামতে না পারায় তাদের মৎস্য আহরণ ভিত্তিক জীবিকা নির্বাহ বন্ধ রয়েছে।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাচনাবাজার ইউনিয়নের প্রাক্তন মেম্বার কবীর আলম, রিয়াজ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, প্রত্যাশা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, জহিরুল আলম সাদ্দাম প্রমুখ।
লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ বলেন, জেলেদের মধ্যে গুরুতর আহত দুইজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। উন্মুক্ত চলতি নদীতে প্রকৃত গরিব জেলেদের মাছ ধরতে না দেওয়াটা অমানবিক।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, অভিযোগটি দেখে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।