1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মানবতাবিরোধী অপরাধ : চেয়ারম্যান ঝুনু মিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা তদন্ত শুরু

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ::
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শামসুল আলম তালুকদার ঝুনু মিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিলেট বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূর হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত দল উপজেলার দক্ষিণ কামলাবাজ, কালিপুর, শরিফপুরসহ কয়েকটি গ্রামের ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। ভুক্তভোগীরা একাত্তরের বর্বরতা ও রোমহর্ষক ঘটনার স্বতঃস্ফূর্ত বর্ণনা দিয়েছেন। এসব বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন তদন্ত সংস্থার সদস্যবৃন্দ। বক্তব্য দিতে গিয়ে অনেকেই বর্বরতার কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জামালগঞ্জের আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলার সদরকান্দি গ্রামের আব্দুল জলিল সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুল আলম তালুকদার ঝুনু মিয়া, লক্ষ্মীপুর গ্রামের মফিজ আলীর ছেলে মজনু মিয়া ও একই গ্রামের মৃত আবুল খয়েরের ছেলে এনাম উদ্দিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে পাঠিয়ে দেন। অভিযোগে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় ঝুনু মিয়াসহ রাজাকাররা নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, খুন, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ কাজ করে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফা মাঠে এসে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কমিটি। প্রাথমিক তদন্তের তথ্য বিশ্লেষণ করে গতকাল মঙ্গলবার আবারও এলাকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা কথা বলতে আসেন তারা। এস ময় কালিপুর, শরিফপুর, দক্ষিণ কামলাবাজসহ কয়েকটি গ্রামের অন্তত ৩০-৩৫ জন ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী তদন্ত সংস্থাকে নানা তথ্য দেন। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অশ্রুসজল হয়ে তাদের উপর ও পরিবারের উপর ঝুনু মিয়ার বর্বরতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তদন্ত সংস্থার সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন ও অন্যান্য সদস্যরা তাদের কথাগুলো লিপিবদ্ধ করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিলেট বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন বলেন, আমরা শামছুল আলম তালুকদার ঝুনু মিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকার ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকেই নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলেছেন। আমরা এগুলো বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com