ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে কোনো মামলার আসামিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)তে না রাখা, গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করেনি এমন কাউকে পিআইসিতে অন্তর্ভুক্ত না করা, পিআইসি গঠন নিয়ে সময় ক্ষেপণ না করা এবং হাওরের সবকটি বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত শুরু করে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবিতে ধর্মপাশা সদরের মধ্যবাজারে মানব্বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’, ধর্মপাশা উপজেলা কমিটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের ধর্মপাশা উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব চয়ন কান্তি দাসের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মজুমদার, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য জুবায়ের পাশা হিমু, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য বদরুল আলম, অসীম শীল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের পিআইসি গঠন করার কথা ছিল। সময় পেরিয়ে গেলেও এ উপজেলায় পিআইসি গঠনের তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নানা অজুহাত দেখিয়ে ও রহস্যজনক কারণে পিআইসি গঠন করতে গিয়ে সময় অতিবাহিত করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে তা আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু এ উপজেলায় ১৭ ডিসেম্বর এখানকার আটটি হাওরের মধ্যে মাত্র তিনটি হাওরে তিনটি প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে। পিআইসি চূড়ান্ত না হওয়ায় অবশিষ্ট পাঁচটি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে এখনো কাজ শুরু করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এ উপজেলায় কোনোকিছুই সময়মতো ও সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। এতে করে ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ পেছানোর পাশাপাশি ফসলহানির আশঙ্কা দিন দিন বেড়েই চলছে। মামলার আসামি ও গণশুনানিতে নাম আসেনি এমন লোকজনকেও পিআইসিতে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানকার কৃষকরা একমাত্র বোরো ফসলের ওপরই বেশি নির্ভরশীল। তাই নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ না করে এ নিয়ে যারা নয়ছয় করার চেষ্টা করবে তারা কেউই এলাকার কৃষকদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন না।