জয়ন্ত সেন ::
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের ওরফে সাকা চৌধুরীর নামে এখনও শাল্লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইটের সামনে একটি নামফলক রয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীর সাকার নামফলক অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিন চৌধুরী সাকাকে এনে শাল্লায় হাসপাতালের সামনের গেইটে একটি ফলক উন্মোচন করান। এই ফলকটি এখনো স্পষ্ট রয়ে গেছে।
শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-আমিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও তার পিতার অপকর্মের কথা দম্ভের সঙ্গে উচ্চারণ করতো সাকা চৌধুরী। সে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে। দেশদ্রোহীর নামে কোন স্থাপনা থাকতে পারে না। অবিলম্বে এটা অপসারণ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা দুর্গাচরণ দাস বলেন, দেশ স্বাধীন করেছি এই অপরাধীর নামে হাসপাতালের সামনে নামফলক দেখার জন্য নয়। এই নামফলক ভেঙে ফেলতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, শাল্লায় দেশদ্রোহী সাকার নাম আছে আমরা জানতাম না। এই বিষয়টি ১৬ই ডিসেম্বর সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অবগত করা হবে। প্রশাসন এটি অপসারণ না করলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারাই তা অপসারণ করব।
মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদেরের নামে নামফলক বহাল থাকা মেনে নেওয়া যায় না। এই কুখ্যাত স্বাধীনতাবিরোধীর নামের স্তম্ভটি অপসারণ চাই।
ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবীর সরকার পান্না বলেন, শাল্লায় সালাউদ্দিনের মতো যুদ্ধাপরাধীর নাম আছে শুনেই লজ্জা হচ্ছে। এই কলঙ্ক আমরা সবাই মিলে মুছে ফেলতে চাই। আমরা নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তরুণদের নিয়ে এটা অপসারণ করবো।