স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর আবাসিক এলাকার পরিত্যক্ত বৈঠকখানা থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে দু’দিন আগে নিখোঁজ হওয়া সোহাগ মিয়া (১০) নামের শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে দিরাই থানা পুলিশ। সে খোকন মিয়ার ছেলে। দুই দিন আগে সে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিল। তবে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার জন্য নতুন জামার বায়না ধরেছিল নিখোঁজের দিন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ রয়েছে মর্মে থানায় জিডি করেন শিশুর মা রোকেনা বেগম। অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করলেও তারা বাড়ির পরিত্যক্ত বৈঠকখানা (লাখারিঘর) খোঁজাখুঁজি করেননি বলে জানা গেছে। এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের লোকজন পরিত্যক্ত বৈঠকখানায় সোহাগের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। লাশ দেখেই তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, রোববার শুরু হওয়া পরীক্ষায় গ্রামের স্কুল থেকে তৃতীয় শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সোহাগের। তারা মামা বাড়ি থাকতো। শুক্রবার সে পরীক্ষায় যাওয়ার জন্য মায়ের কাছে নতুন পোষাকের বায়না ধরে। কিন্তু অক্ষম মা পোষাক দিতে পারেননি। তাই অভিমান করে সে বাড়ি থেকে চলে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় মা ও স্বনজরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তাকে পাননি। শনিবার শিশুটির মা থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।
দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, গত দু’দিন ধরে সোহাগ নিখোঁজ রয়েছে বলে তার মা রোকেনা বেগম শনিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের একটি কক্ষ থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।